[email protected] রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
২২ আষাঢ় ১৪৩২

ভুল সংশোধনে শিক্ষকদের পরামর্শ চাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২৫, ১৬:২৬

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে বিদ্যমান ভুল, অসংগতি এবং পরিমার্জনের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করতে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সুপারিশ চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর ওপর পর্যালোচনা করে নির্ধারিত ছক ও নির্দেশনা অনুসারে সুপারিশ পাঠাতে বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাঠ্যপুস্তককে আরও যথাযথ, নির্ভুল ও আধুনিক করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষকরা এই সুপারিশ সোমবার (৭জুলাই) মধ্যে হার্ডকপি ও সফট কপিতে (নিকোশব্যান, ১২ ফন্ট) ই-মেইলের মাধ্যমে ([email protected])- এই ঠিকানায় পাঠাতে পারবেন।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা এক অফিস আদেশ সূত্রে জানা গেছে, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ইসলাম শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম, কৃষিশিক্ষা, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান এবং শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকসমূহ পর্যালোচনা করে সংশোধনের জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশোধনের প্রস্তাবে অধ্যায়, পৃষ্ঠা, লাইনের সুনির্দিষ্ট তথ্য, কীভাবে লেখা আছে এবং কীভাবে সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, তা যুক্তিসহ তুলে ধরতে হবে।

পরিমার্জনের ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২ অনুসারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিখনফলের আলোকে সুপারিশ দিতে হবে। একই সঙ্গে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের খসড়া পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা কিংবা পেশা– সংক্রান্ত কোনো বৈষম্যমূলক শব্দ, বাক্য, তথ্য কিংবা ছবি থাকলে তা চিহ্নিত করে সুস্পষ্টভাবে সংশোধনের প্রস্তাব দিতে হবে। পাঠ্যপুস্তকে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, দেশপ্রেম, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ ও জাতীয় চেতনাবিরোধী কোনো উপাদান থাকলে সেগুলোও সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে।

পর্যালোচনার সময় তথ্যসূত্র যাচাই করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য হালনাগাদ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানান অভিধান অনুসারে প্রয়োজনে বানান সংশোধনের প্রস্তাব দিতেও বলা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের মূল কাঠামো অপরিবর্তিত রেখে কেবল ভুল সংশোধনের জন্য প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। ছক অনুযায়ী সুপারিশের বাইরেও যদি কোনো মতামত বা পরামর্শ থাকে, সেগুলো আলাদা কাগজে নাম ও সইসহ সফট কপিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।

এমএএন

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর