[email protected] মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
৩ আষাঢ় ১৪৩২

৭টি ব্যাংকসহ মোট ১২টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়া হচ্ছে


প্রকাশিত: ১৮ আগষ্ট ২০২৪, ১৯:২৩

এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ৭টি ব্যাংকসহ মোট ১২টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেয়ার পরেই পর্ষদ ভেঙে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং নীতি ও প্রবিধি বিভাগ কার্যক্রম শুরু করেছে। আজ দাপ্তরিক কাজ শেষে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র পর্ষদ ভেঙে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে একজন প্রশাসক বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে। আর দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে পুরো পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করা হতে পারে। সেখানে ২০১৭ সালের আগে যারা পর্ষদে ছিলেন, তাদের মধ্য থেকে কাউকে কাউকে আনা হবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
এদিকে এস আলম গ্রুপের হাত থেকে ইসলামী ব্যাংককে রক্ষা করতে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে ব্যাংকটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গভর্নর বরাবর পাঠানো চিঠিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে সই করেছেন ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এএসএম রেজাউল করিম

 ইসলামী ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষা, গ্রাহকের আস্থা ফেরানো এবং ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে দুর্নীতিমুক্ত, ইসলামী ব্যাংকের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যক্তি অথবা সাবেক পরিচালকদের মধ্য থেকে কিছুসংখ্যক ব্যক্তির সমন্বয়ে বোর্ড পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে।

 আলম গ্রুপের মালিকানাধীন যেসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলো হলো ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। এস আলম গ্রুপের বাইরে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়া হতে পারে, এমন তালিকায় রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল (ইউসিবি) ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। বাকি ৩টি ব্যাংকের নাম জানা যায়নি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার এস আলমের ৭ ব্যাংকের নতুন ঋণ বন্ধ করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে গত মঙ্গলবার এস আলমের ৭টিসহ মোট ৯টি ব্যাংকের লেনদেনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ সুবিধা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়। এ ছাড়া এস আলমের ৭ ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পাচার ঠেকাতে ১ কোটি টাকার বেশি লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
 মনসুর দায়িত্ব নেয়ার পরেই বলেছেন, ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। প্রয়োজনে এস আলমের মালিকানাধীনসহ দুর্বল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে হবে। এজন্য নির্ধারিত সময় ফ্রেম বলা কঠিন। তবে ব্যাংকের নিয়ম ভেঙে কিছু করার সুযোগ আর কেউ পাবেন না।

এমএএন

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর