ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, টাকা মেরে খাওয়ার জন্য আমরা ক্ষমতায় বসিনি। সরকারের সৎ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় এখন ধর্মীয় কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে হজ ব্যবস্থাপনা ও মসজিদ উন্নয়ন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার মডেল মসজিদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সরকার অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে হজ ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করেছে। হাজীরা দেশ কিংবা সৌদি আরব কোথাও কোনো হয়রানির শিকার হননি। এবার কাবার কাছাকাছি এলাকায় স্বল্পমূল্যে ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছে, এতে খরচ কিছুটা কম হয়েছে। কিছু টাকা জমাও রয়েছে, যা সকল হাজী দেশে ফিরে এলে ফেরত দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু: আ: আউয়াল হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ: ছালাম খান, প্রকল্প পরিচালক মো: শহীদুল আলম, হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা খলিল আহমদ কাসেমী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী প্রমুখ।
ধর্ম উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, টাকা মেরে খাওয়ার জন্য আমরা ক্ষমতায় বসিনি। এটা জাতিকে জানাতে চাই।
এর আগে তিনি রাউজান, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় তিনটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতাধীন প্রকল্পের অধীনে এসব মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।
রাউজানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সরকার ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রাউজানের মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছে। এখন এটিকে সচল রাখার দায়িত্ব এলাকাবাসীর। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে মসজিদকে সমাজ গঠনের কেন্দ্রে পরিণত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় মূল্যবোধই মানুষকে নৈতিকতা শেখায়, অপরাধ থেকে বিরত রাখে। সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি ধর্মের শিক্ষা অনুসরণ করে, তাহলে সমাজে শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধ বজায় থাকবে।
তিনতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ কমপ্লেক্সে রয়েছে একসাথে ১ হাজার ২০০ মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা। পাশাপাশি রয়েছে মুর্দা গোসলখানা, ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, এতিমখানা, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, হজ বুকিং, গণশিক্ষা কেন্দ্র, অটিজম কর্ণার, মহিলা নামাজের পৃথক স্থানসহ আধুনিক সব সুবিধা।
সকালে উপদেষ্টা হাটহাজারী পৌরসভার ফটিকা কডিয়ার দীঘিরপাড় এলাকায় হাটহাজারী উপজেলার মডেল মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেখানে মোনাজাত পরিচালনা করেন হাটহাজারী মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা শেখ আহমদ।
উল্লেখ্য, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটি ধর্মীয়, সামাজিক ও নৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সুশাসনের প্রতীক হিসেবে কাজ করছে বলে মত দিয়েছেন আয়োজকরা।
এমএএন
মন্তব্য করুন: