শেখ মুজিবের ছবি বঙ্গভবন থেকে সরিয়ে দিয়েছেন নবনিযুক্ত উপদেষ্টা মাহফুজ

গতকাল (১০ নভেম্বর) নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন পরই বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে দিয়েছেন নবনিযুক্ত উপদেষ্টা জুলাই বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ খ্যাত মাহফুজ আলম।

আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিটি সরানোর পর আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ-এর মাধ্যমে ছবি ধারণ করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরুধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এতে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন মাস পরও বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়নি। এ নিয়ে অনেক দিন ধরেই ব্যাপক সমালোচনা চলে আসছিল। অবশেষে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের একদিনের মাথায় ছবিটি সরিয়ে দেন মাহফুজ আলম। এতে ছবি সরানোর ব্যাপারে ব্যাখা দেন তিনি।

রবিবার বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন তিনজন, যার মধ্যে রয়েছেন মাহফুজ আলম অন্যতম। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ছিলেন তিনি।

সোমবার দুপুর ১২টা ২ মিনিটে দেওয়া পোস্টে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লিখেন, “দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমান-পোস্ট ‘৭১’ ফ্যাসিস্টের ছবি সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। যার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু মানুষের মধ্যে জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাকে কোথাও দেখা যাবে না।”

“ক্ষমা ও ফ্যাসিস্টদের বিচার ছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না” বলেও উল্লেখ করেন মাহফুজ। বলেন, “শেখ মুজিব এবং তার কন্যা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যা করেছেন তা আওয়ামী লীগকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে। অগণতান্ত্রিক ‘৭২’-এর সংবিধান থেকে শুরু করে দুর্ভিক্ষ, কোটি টাকা পাচার এবং হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদের বিচারবহির্ভূত হত্যা (’৭২-৭৫, ২০০৯-২০২৪)। তাহলে আমরা ‘৭১-এর আগের শেখ মুজিবের কথা বলতে পারি। ক্ষমা ও ফ্যাসিস্টদের বিচার ছাড়া কোনো ধরনের সংলাপ হবে না।”