বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েও দেশের মধ্যে উসকানি দিয়ে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। মুক্তিপাগল মানুষ এসব সহ্য করবে না। উসকানির ফলে বর্তমানে দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তার দায়ভার সম্পূর্ণ উসকানিদাতার।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পালিয়ে গিয়েও দেশের মধ্যে উসকানি দিয়ে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় শেখ হাসিনা। মুক্তিপাগল মানুষ এসব সহ্য করবে না। উসকানির ফলে বর্তমানে দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তার দায়ভার সম্পূর্ণ উসকানিদাতার।
জামায়াত আমির বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তা সবাই মেনে নিয়েছে। বাংলাদেশ ১৮ কোটি ফুলের বাগান। এই দেশে কে কোন ধর্মের তা বিবেচ্য বিষয় নয়। সব ধর্মের মানুষ বাংলাদেশে গর্বিত নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার ভোগ করবে।
দেশের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতিকে দুইভাগে বিভক্ত করা হলো। স্বাধীনতার পক্ষে এক দল বিপক্ষে আরেক দল।
স্বাধীনতা যুদ্ধে কার কী ভূমিকা ছিল মানুষই তার সাক্ষী উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, দেশটা স্বাধীন হওয়ার পর কেউ কি বলেছে আমরা স্বাধীনতা মানি না, এমন কোনো দলের নাম কেউ জানেন? এমন কোনো দল নাই। সবাই প্রিয় দেশের স্বাধীনতা মেনে নিয়েছে। স্বেচ্ছায় গ্রহণ করেছে।
সবাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার হতে চায় বলে মনে করেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, কিন্তু যখন দেশটাকে দুভাগে ভাগ করে প্রতিহিংসার সংস্কৃতি গড়ে তোলা হবে, তখন এই জাতি ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না। একটি বিভক্ত জাতি কখনও বিশ্বে মর্যাদার সঙ্গে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, জাতিকে বিভক্ত করার স্বার্থে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ৫৪ বছর যাবত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলেছে। বিচারের নামে এই দলকে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা যারা করেছিল তারাই আজ দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বিগত ১৬ বছর জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক সব অধিকার ক্ষুণ্ন করে জনগণকে গণতন্ত্রের স্বাদ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। চব্বিশের চেতনা বাংলাদেশে সমুন্নত রাখতে দলটি অঙ্গীকারবদ্ধ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমির মুহাম্মদ আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন: